Showing posts with label রাত জাগার কুফল. Show all posts
Showing posts with label রাত জাগার কুফল. Show all posts

Thursday, July 17, 2025

রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় তাহলে গল্পটি পড়ুন

 রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় তাহলে গল্পটি পড়ুন

যাদের রাতে ঘুমাতে দেরি হয়, তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ

একটি কথা। এক ব্যক্তি হযরত ইব্রাহিম ইবনে আদহাম

(রহঃ) এর সাথে তর্ক করছিলো যে-'বরকত' বলতে কিছুই

নেই।

তিনি বললেন, তুমি কি ছাগল ও কুকুর দেখেছো?

লোকটি বলল,

জি দেখেছি।

শায়খ লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন- বলতো কুকুর আর

ছাগল এর মধ্যে কে বেশি বাচ্চা দেয়?

লোকটি বললো, কুকুর।

শায়খ বললেন, এদের মধ্যে তুমি কোন জন্তুটিকে বেশি

দেখতে পাও, কুকুর না ছাগল?

লোকটি বললো, ছাগল।

শায়খ ইব্রাহিম ইবনে আদহাম (রহঃ) বললেন,

"ছাগলকে মানুষ খায়, কোরবানির সময় কত ছাগল

কোরবান করা হয়, এরপর ও ছাগলের সংখ্যায় বেশি দেখা

যায়, কমে না। এর রহস্য কি বলে মনে হয় তোমার?

লোকটি জিজ্ঞাসা করলো- কি রহস্য শায়খ?

শায়খ বললেন- একবার ভেবে দেখো, এটা কি বরকত নয়?

লোকটি বললো, তাহলে এর কারণ কি যে ছাগলের মধ্যে

বরকত হয়, আর কুকুরের মধ্যে বরকত হয় না?

শায়খ বললেন, এর কারণ হলো ছাগল সন্ধ্যা হতেই ঘুমিয়ে

যায়, আর ভোরে জাগ্রত হয়, এই সময়টাই হয় রহমত ও

বরকত বর্ষণের মুহূর্ত। ফলে তার মধ্যে বরকত হয়। আর

কুকুর সারা রাত জাগ্রত থাকে ফজরের আগে ঘুমায়। তাই

সে বরকত থেকে বঞ্চিত থাকে।

একটু চিন্তার বিষয়, নবীজি (সঃ) এর সুন্নাত হলো-এশার

নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যাওয়া। শেষ রাতে জাগ্রত হয়ে

তাহাজ্জুদ পড়া, কেননা আল্লাহ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে

প্রথম আসমানে নেমে এসে বান্দাদের কে দোয়া করার জন্য

ক্ষমা চাওয়ার জন্য ডাকতে থাকেন।

আর আমরা? সাড়া রাত মোবাইলে, ইন্টারনেটে হা'রা'

কাজে ব্যস্ত থেকে ঠিক এই সময়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আর

ফজরের তো খবরই নেই। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই

আছেন যারা যখন শুনেন মসজিদের ফজরের আজান

হচ্ছে, ঠিক তখনই তারা ঘুমাতে যান। তাদের মনে হয়

হায়রে, ঘুমের সময় হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের এটা মনে হয়

না, আজানটা যখন হয়েই গেছে, নামাজটা পড়ে ঘুমিয়ে

পড়ি।

অথচ রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ফজরের কেবল দুই রাকাত

সুন্নাত সালাত পৃথিবী এবং এর মধ্যে যা আছে সবকিছুর

চাইতে উত্তম, সুবহানআল্লাহ। তাহলে দুই রাকাত ফরজের

কতটা মর্যাদা হতে পারে? এমন অতি মূল্যবান সময় আমরা

ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেই। তাহলে আমাদের কাজ কর্মে আল্লাহ

বরকত দিবেন কিভাবে?

আবার আমরাই দোয়া করে অস্থির হয়ে যাই আর ভাবি -

আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেন না কেন?

কিন্তু যখন আমাদের হাতে মোবাইল ছিল না, তখন সময়টা

এমন ছিল না। আগের দিনের মানুষ সন্ধ্যার একটু পর পর

সাত আটটার দিকে ঘুমিয়ে যেত। স্বামী স্ত্রী রাতে ঘুমানোর

আগে অনেক গল্প করতেন। অনেক লম্বা একটা সময়

ঘুমানোর পরে তাদের ভোর পাঁচটার দিকে উঠতে কোন

সমস্যা হতো না। ভোর বেলায় তারা খেতে খামারে কাজ

করতে চলে যেত। দুপুরের মধ্যেই কাজ শেষ করে বাড়ি

ফিরত। তারপর বউ বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে পারতো।

কিন্তু এখন আমাদের আর সেই সুযোগ হয় না। ঘুমের সময় ছাড়া আমারা

আর কেউ বাসায় থাকি না। শুধু কাজ আর কাজ।

আমাদের সামাজিক বন্ধন ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে। নারীরা

তাদের সঙ্গীর কাছে সময় ভিক্ষা চাইছেন, পুরুষেরাও

তাদের নারীর কাছে। কিন্তু কেউ কাউকে সময় দিতে

পারছেন না।

তাই আসুন আমরা এখনই নিজেকে পরিবর্তন করি,

আল্লাহর বিধান সমূহকে যথাযথভাবে গুরুত্বের সাথে পালন

করি। তাহলে আশা করা যায়, তিনি আমাদের দোয়া কবুল

করবেন এবং কাজকর্মে বরকত দিবেন, ইনশাআল্লাহ।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান

করুন, আল্লাহুম্মা আমিন।

এডমিন পোস্ট

 

Saturday, July 12, 2025

অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে নিজের অজান্তেই নিজের ভয়ংকর ক্ষতি করছেন!

 অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে নিজের অজান্তেই নিজের ভয়ংকর ক্ষতি করছেন!

আজকের যুগে রাত জাগা যেন ফ্যাশনের অংশ হয়ে গেছে। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দিচ্ছেন, কেউ মুভি বা গেমে ব্যস্ত, আবার কেউ কাজের চাপ সামলাতে গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না—এই অভ্যাসটাই আমাদের জীবনের উপর এক ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে। চলুন দেখে নিই অতিরিক্ত রাত জাগার কিছু মারাত্মক ক্ষতির দিক:

🔥১. মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রভাব

রাত জাগলে ব্রেইন সঠিকভাবে বিশ্রাম পায় না। ফলে মনোযোগের ঘাটতি, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এবং চিন্তার স্পষ্টতা ন*ষ্ট হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে চললে মানসিক রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

💔২. হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি

ঘুমের অভাব সরাসরি হার্টের উপর চাপ ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রাত জাগা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

💀৩. ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়

ঘুম হল শরীরের প্রাকৃতিক চিকিৎসা। কিন্তু রাত জাগলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ন*ষ্ট হয়ে যায়। ফলে আপনি সহজেই বিভিন্ন ভাইরাস বা ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন।

🧠৪. মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তা বাড়ে

নিয়মিত রাতে না ঘুমালে মুড নষ্ট হয়, খিটখিটে স্বভাব তৈরি হয়, এবং হতাশা জেঁকে বসে। জীবনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়।

🍔৫. ওজন বাড়ে ও হজমে সমস্যা হয়

রাত জাগলে অনিয়মিত খাওয়া হয়, অতিরিক্ত খাওয়া হয়, যা শরীরে মেদ জমায়। সেইসাথে হজমের সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিকও বেড়ে যায়।

👁️৬. চোখে ক্লান্তি ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস

ঘুম না হলে চোখে কালো দাগ পড়ে, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখের পাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে।

🧬৭. হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট হয়

ঘুমের সময় শরীরে হরমোন নিঃসরণ হয়, যা শরীরের বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রাত জাগলে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়, যার ফলে ব্রণ, চুল পড়া, অনিয়মিত মাসিকসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

✅সমাধান:

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান (সাধারণত রাত ১০-১১ টার মধ্যে)। ঘুমের আগে মোবাইল বা স্ক্রিন এড়িয়ে চলুন।

ঘুমের পরিবেশ শান্ত, অন্ধকার ও ঠাণ্ডা রাখুন।

ক্যাফেইন ও ভারী খাবার রাতের বেলা এড়িয়ে চলুন।

ঘুমের আগে হালকা বই পড়া বা প্রার্থনা করতে পারেন—এতে মানসিক প্রশান্তি আসে।

রাত জাগা যতটা মজার মনে হয়, তার ক্ষতি ততটাই ভয়ংকর। এই ক্ষতিগুলো হয়তো এখনই চোখে পড়ে না, কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীর তার মূল্য চুকিয়ে দেয়। তাই নিজেকে ভালোবাসুন, শরীরকে সময় দিন, আর "ঘুম" নামের এই গুরুত্বপূর্ণ ঔষধটিকে অবহেলা করবেন না।

ঘুম মানেই অলসতা নয়—বরং সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ!

লেখা- জীবন চক্র

#জীবন_চক্র

 

রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় তাহলে গল্পটি পড়ুন

  রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় তাহলে গল্পটি পড়ুন যাদের রাতে ঘুমাতে দেরি হয় , তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা। এক ব্যক্তি হযরত ইব্রা...