ডান কাত হয়ে ঘুমানোর বৈজ্ঞানিক মু’জিযা, আপনার সময়ের মাত্র ৬০ সেকেন্ড নিন !
চলুন একসাথে জেনে নিই !
💐 ১. কেউ কেউ পেটের উপর ভর করে ঘুমান।
💐 ২. কেউ কেউ পিঠের উপর শুয়ে ঘুমান।
💐 ৩. কেউ কেউ বাম কাত হয়ে ঘুমান।
💐 ৪. কেউ কেউ ডান কাত হয়ে ঘুমান।
১. পেটের উপর ঘুমানো:
এই অবস্থায় ঘুমালে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, কারণ দেহের ওজন এবং হাড়ের কাঠামো ফুসফুসের উপর চাপ ফেলে।
👈 তাই, পেটের উপর ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
৩. বাম কাত হয়ে ঘুমানো
সাধারণভাবে
খাবার হজম হতে ২
থেকে ৪ ঘণ্টা সময়
লাগে।
কিন্তু
বাম কাত হয়ে ঘুমালে
হজম হতে লাগে ৫
থেকে ৮ ঘণ্টা, কারণ
ডান ফুসফুস বড় হওয়ায় তা
হৃদয় এবং যকৃৎকে চাপ
দেয়।
ফলে
যকৃৎ, যা শরীরের সবচেয়ে
বড় অঙ্গ, সঠিকভাবে কাজ করতে পারে
না এবং অস্বস্তি তৈরি
হয়।
👈 অতএব, বাম
কাত হয়ে ঘুমানোও স্বাস্থ্যসম্মত
নয়।
৪. ডান কাত হয়ে
ঘুমানো:
ডান
কাত হলে, বাম ফুসফুস
যেহেতু ছোট ও হালকা,
তাই চাপ কম পড়ে।
আর যকৃৎ শরীরের নিচে
স্থির হয়ে থাকে, ফলে
হজম দ্রুত হয়।
💐 তাই, এটাই
ঘুমানোর সবচেয়ে উত্তম উপায়—স্বস্তিদায়ক এবং উপকারী।
হাদীস
দ্বারা প্রমাণ:
রাসূলুল্লাহ
ﷺ বলেছেন:
“যখন
তুমি শোবার যায়, তখন নামাযের ওযু
করো, তারপর ডান কাত হয়ে
শুয়ে পড়ো এবং বলো:
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ...”
📖 সহীহ বুখারী
ও মুসলিম (মত:আলাইহি)
প্রাচীন
বাণী:
পিঠের
উপর ঘুমানো: রাজাদের ঘুম
পেটের
উপর ঘুমানো: শয়তানের ঘুম
বাম
কাত হয়ে ঘুমানো: ধনীদের
ঘুম (অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে)
ডান
কাত হয়ে ঘুমানো: পরহেযগার
ও আলেমদের ঘুম
🌟 আর এটি-ই ছিল রাসূলুল্লাহ
ﷺ -এর ঘুমানোর ভঙ্গি।
📚 এই কল্যাণকর
জ্ঞান ছড়িয়ে দিন, কারণ কল্যাণের
দিকনির্দেশক তার কার্যসম্পাদনকারীর মতোই পুরস্কার
পাবেন।
🕋🤲 আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া
বারিক ‘আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মদ
!
সংগ্রহে
জামিল আক্কাছ
মোহাম্মদ
